এতো কিছু পেরিয়ে বেরোবি শিক্ষার্থীরা নতুন আশার আলো দেখতে পেলো। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে পরে তিন দফা দাবি মেনে নিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। শিক্ষার্থীদের প্রায় টানা ৬ ঘণ্টা আন্দোলনের পরে উপাচার্য সরাসারি এসে তাদের দাবি মেনে নেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় থাকার জন্য সুনিশ্চিত ব্যবস্থা(হলে থাকার ব্যবস্থা), বিগত বছরে ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষক(আটক), কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ও ভর্তি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা এই তিন দফা দাবিতে ঢাকা-রংপুর, কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে বেরোবির শিক্ষার্থীরা।
একটি সুত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১২টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে । এরপরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর ফটকের(প্রধান ফটক) এর সামনে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। সে সময় চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষেরা।
পরে আন্দোলন থামাতে প্রশাসনের পক্ষে কথা বলতে এসে বিকাল ৪টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) শাহীনুর রহমান। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে উপাচার্য এসে মৌখিকভাবে শিক্ষার্থীদের দেওয়া সকল দাবি মেনে নেন।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া বক্তোব্যে জানানো হয় যে তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা থাকার ভোগান্তিতে থাকবে কেন? দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় যেমন:RU,JU,JnU,Chittagong etc বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকার ব্যবস্থা থাকে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রচলনটা চালু করা দরকার।
No comments:
Post a Comment